বাংলাদেশ গেমসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশ গেমসের উদ্বোধন করলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৃহস্পতিবার (১ এপ্রিল) সন্ধ্যায় বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে দেশের সর্বোচ্চ এই ক্রীড়াযজ্ঞের উদ্বোধন ঘোষণা দিলেন তিনি।
বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের (বিওএ) উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে তার মহান স্মৃতির উদ্দেশ্যে উৎসর্গকৃত এই গেমসটির নামকরণ করা হয়েছে ‘বঙ্গবন্ধু ৯ম বাংলাদেশ গেমস ২০২০’।
গেমসটি ১-১০ এপ্রিল ২০২০ সালে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা থাকলে ও বিশ্ব জুড়ে কোভিড-নাইন্টিন মহামারীর কারণে ১২ মার্চ ২০২০ সালে তা সাময়িক স্থগিত করা হয়। সরকারের অনুমতিক্রমে এবং কোভিড মহামারীর সর্বোচ্চ প্রতিরোধ ব্যবস্থা নিয়ে গেমসটির প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।
এদিন বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে সন্ধ্যা সাড়ে পাঁচটায় পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত করা হয়। জায়ান্ট স্ক্রিনে বাংলাদেশের খেলাধুলার উল্লেখযোগ্য সাফল্য গাথার অডিও ভিজুয়াল প্রদর্শনী হয়।
মাগরিবের নামাজের বিরতির পর অনলাইনে যুক্ত হন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এরপর জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। খেলাধুলায় বাংলাদেশ অডিও ভিজ্যুয়াল প্রদর্শনী হয়।
৬টা ৫০ মিনিটের পর ক্রীড়াবীদ ও কর্মকর্তারা মাঠে প্রবেশ করেন। অংশগ্রহণকারী দলগুলো নিজেদের পতাকা-প্লাকার্ড হাতে স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করে। তার পরই ক্রীড়াবীদের পক্ষে শপথ পাঠ করেন আর্চার রোমান সানা। অন্যদিকে বিচারকদের পক্ষ থেকে শপথ পাঠ করেন জুডোর আন্তর্জাতিক রেফারি কামরুন নাহার হিরু।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ অলিম্পিক কমিটির মহাসচিব (বিওএ) ও গেমসের সাংগঠনিক কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ শাহেদ রেজা, শুভেচ্ছা বক্তব্য দেন বিওএ’র সভাপতি ও গেমসের সাংগঠনিক কমিটির নির্বাহী চেয়ারম্যান জেনারেল আজিজ আহমেদ। বক্তব্য দেন যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী ও গেমসের সাংগঠনিক কমিটির কো-চেয়ারম্যান জাহিদ আহসান রাসেল।
সন্ধ্যা সোয়া সাতটার দিকে ভাষণ দেয়া পর গেমসের উদ্বোধন ঘোষণা করেন প্রধানমন্ত্রী। তার পর মশাল প্রজ্বলন করেন গলফার সিদ্দিকুর রহমান ও সাতারু মাহফুজা আক্তার শিলা।
এশার আজানের বিরতির সময় মাঠ ত্যাগ করেন ক্রীড়াবিদরা। বিরতি শেষ হলে গেমসের মাসকট ‘কোমল’ স্টেডিয়াম প্রদক্ষিণ করে। তার পর জায়ান্ট স্ক্রিনে তুলে ধরা হয় ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ অডিও ভিজুয়াল।
দুর্দান্ত স্টেজ পারফরমেন্স করেন নৃত্য শিল্পিরা। তার পর গান পরিবেশন করেন স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পিরা। ‘যদি রাত পোহালে শোনা যেতে, বঙ্গবন্ধু মরে নাই’ গানটি পরিবেশন করেন কিংবদন্তি গায়িকা সাবিনা ইয়াসমিন। অন্যদিকে রবীন্দ্রসংগীত শিল্পি রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা সুরের মুর্ছনায় ভাসান অতিথিদের। রাত নয়টার দিকে মনোমুগ্ধকর লেজার শো ও ফায়ার ওয়ার্কের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি হয়।
ওয়াই
মন্তব্য করুন